মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪



চট্টগ্রামে ‘বালি আর্কেড’ উদ্বোধন, জয়া আহসানকে দেখতে উপচেপড়া ভীড়


আলোকিত সময় :
03.04.2021

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। ঢাকঢোল পিটিয়ে করা হয়েছিল জমকালো আয়োজন। দেশের জনপ্রিয় নায়িকা ও দুই বাংলার সেলিব্রিটি জয়া আহসানকে একনজর দেখার জন্য চট্টগ্রামে উদ্বোধন হতে যাওয়া সুপার মল ‘বালি আর্কেড’ এ ছিল উপচেপড়া ভীড়। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় সন্ধ্যা ৬ টার আগেই বাধ্যতামূলকভাবে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করতে হয়। এতেই দেখা দেয় বিপত্তি। জয়া আহসানকে একনজর দেখতে মার্কেটের সামনে সমবেত হওয়া হাজারো মানুষকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। পুলিশ
এবং সিকিউরিটি গার্ড চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শুক্রবার সাধারণ ছুটি থাকায় বানের জলের মত আসা দর্শনার্থীদের সামলানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দেখা যায়, মার্কেটের তিন তলায় জয়া আহসান একটি বড় হল রুমে তাঁর বসে আছেন। সাথে আছেন চট্টগ্রামের আরেক সেলিব্রিটি প্রেজেন্টার স্মিতা চৌধুরী। সবাই বাকরুদ্ধ। মুখে মাস্ক থাকায় বুঝা যাচ্ছিল না তাঁরা আসলে হাসছিলেন, না কাঁদছিলেন ! মাস্ক খোলার পর বোঝা গেল এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে তাঁরাও নার্ভাস। এরমধ্যেই দেখা গেল সাংবাদিকদের ভীড়।


সেই হলটিতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বালি আর্কেড এর মালিক পক্ষ শেঠ প্রপার্টিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোলায়মান আলম শেঠ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে আমরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে আজকের এই বিশাল আয়োজন সংক্ষিপ্ত করেছি। সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকে তিনি আরো বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রামের গর্ব এই সুবিশাল ‘বালি আর্কেড’ দেশে-বিদেশে যথাযথ প্রচার পেতে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

জানা যায়, বিজনেস, বিনোদন, শপিং এবং ফ্যামিলি এন্টারটেইনমেন্টের পরিপূর্ণ আয়োজন চট্টগ্রামের চকবাজারে অবস্থিত এই ‘সুপার মল’ বালি আর্কেড। শেঠ গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান শেঠ প্রপার্টিজ লিঃ এর একটি সিগনেচার প্রকল্প হিসেবে বিশ্বমানের সুবিধা নিয়ে নান্দনিক শৈল্পিকতায় নির্মিত ১১ তলা বিশিষ্ট স্বয়ংসম্পুর্ণ বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স হিসেবে বালি আর্কেড প্রকল্পটি নির্মিত হয়েছে।

এই প্রকল্পে রয়েছে সিনেপ্লেক্স, ফুডকোট, কনভেনশন হলসহ সর্বমোট ২৫০টি শপ, শো-রুম এবং ডিসপ্লে সেন্টার। বিশ্বমানের আর্কিটেকচারাল ডিজাইনে নির্মিত এই প্রকল্পে রয়েছে ৩০ হাজার স্কয়ার ফিটের দেশের অন্যতম বৃহৎ এমিউজমেন্ট পার্ক, ৩টি সিনেপ্লেক্স। আরো রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের পৃথক পৃথক কুইজিন বেইস ফুডকোট, স্বতন্ত্র লেডিস জোন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডশপ সম্বলিত মোবাইল ফোন, মোবাইল এক্সেসরিজ, কসমেটিক জোন, জেন্টস ব্র্যান্ডশপ, লাইফস্টাইল, পার্লারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যন্ড এখানে তাদের শো-রুম চালু করছে। পুরো শপিং মলটিই ফ্রি ওয়াইফাই-এর আওতায় রেখেছে কর্তৃপক্ষ।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি