প্রচ্ছদ 
রাজু চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
২০ টি সাজা ও ১২ টি পরোয়ানাসহ মোট ৩২টি পরোয়ানার আসামী দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করল সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
জানা গেছে, নগরীর সিরাজুদ্দৌলা রোডের মিষ্টি ব্যবসায়ী ইকবাল সুইটস্ এর স্বত্বাধিকারী দুই সহোদর কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ না করে পালিয়ে ছিলেন ৬ বছর। কোটি টাকা লোপাটে দুই জন সাজা প্রাপ্ত আসামী মোঃ মাজাহার ইকবাল খান (৫০) ও তার ছোট ভাই মোঃ জাফর ইকবাল খান (৪০)।
তারা নবাব সিরাজুদ্দৌলা রোডে “ইকবাল সুইটস” নামে দোকানে মিষ্টির ব্যবসা করতেন। তাদের বাবা হাজী মোহাম্মদ ইকবাল খান মারা যাওয়ার পর তাদের বাবার রেখে যাওয়া দিদার মার্কেটের বিপরীতে সম্পত্তিতে তারা মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং ১০ তলা ভবন নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও লোকজনদের নিকট হতে কোটি টাকা ঋণ নেন। ৮ম তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের পর তারা ভবন নির্মাণ করার কাজ বন্ধ করে দেন। যে সমস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও লোকজনদের নিকট থেকে কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তাদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে দুই ভাই চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে তারা তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপন করে ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আসামী মোঃ মাজাহার ইকবাল খান (৫০) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানাধীন জোড় পুকুরিয়া গ্রামে আত্মগোপন করেন। সেখানে তিনি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। অন্যদিকে তার ছোট ভাই মোঃ জাফর ইকবাল খান (৪০) গাজীপুর জেলার গাঁছা থানাধীন মেট্রিক্স স্টাইলস লিঃ কোম্পানিতে একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তাদের গ্রেপ্তারে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও কুমিল্লা জেলায় অভিযান চালিয়ে বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টায় গাজীপুর জেলার গাঁছা থানাধীন বটতলী এলাকা থেকেতার বিরুদ্ধে ৭ টি সাজা ও ৬টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সহ মোট ১৩টি পরোয়ানার আসামী মোঃ জাফর ইকবাল খান(৪০) কে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন জোড় পুকুরপাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তার বড় ভাই ১৩ টি সাজা ও ৬ টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সহ মোট ১৯ টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামী মোঃ মাজাহার ইকবাল খান (৫০) কে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটের সময় গ্রেপ্তার করা হয়।
