
বশির আহাম্মদ, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’ এর ছত্রছায়ায় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার হোসেন ওরফে চম্পাই সহ ৯ জনকে বান্দরবানের টংকাবতী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব এসময় তাদের কাছে থাকা বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্বার করা হয়। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বান্দরবান জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় রোববার (১২ মার্চ) রাতে বান্দরবান জেলার সুয়ালক ইউনিয়নের টংকাবতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রেস ব্রিফিং এ আরো জানানো হয় বিভিন্ন সময়ে র্যাবের পরিচালিত অভিযানে ইতিমধ্যে নতুন এই জঙ্গী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা সহ সর্বমোট ৫৯ জন এবং পাহাড়ে অবস্থান প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে জঙ্গিদের সহায়তার জন্য পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কে এন এফ এর ১৭ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ১২ই মার্চ রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১,১১ ও ১৫ এর যৌথ অভিযানে বান্দরবানের টংকাবতী এলাকা হতে পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার মোঃ দিদার হোসেন মাসুম প্রকাশ চম্পাই (২৫), পিতাঃ আব্দুর রহিম, সদর কুমিল্লা, আল আমিন সর্দার প্রকাশ আব্দুল্লাহ বাহাই (২৯,), পিতাঃ মোঃ ইউনুস সর্দার, সদর, নারায়ণগঞ্জ, সাইনুন রায়হান,প্রকাশ হুজাইফা (২১), পিতাঃ মোঃ আবুল কালাম,কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা, তাহিয়াত চৌধুরী পাভেল,প্রকাশ হাফিজুল্লাহ,রিতেং (১৯), পিতা- কামাল আহম্মেদ চৌধুরী, বিয়ানীবাজার, সিলেট, মোঃ লোকমান মিয়া (২৩), পিতা- আব্দুল কাদির, শাহপরান, সিলেট,মোঃ ইমরান হোসেন প্রকাশ সাইতোয়াল,শান্ত (৩৫), পিতাঃ মৃত আব্দুল,আজিজ, লাকসাম, কুমিল্লা, মোঃ আমির হোসেন (২১), পিতা- আনোয়ার হোসেন, কোর্টচাদপুর, ঝিনাইদহ, মোঃ আরিফুর রহমান প্রকাশ লাইলেং(২৮), পিতা- ফারুক হাওলাদার, সদর, বরিশাল এবং শানিম মিয়া প্রকাশ বাকলাই (২৪), পিতা- মোঃ গেয়াস উদ্দিন,ফুলপুর,ময়মনসিংহ, তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। উল্লেখ্য গত ২৩ আগস্ট ২০২২ তারিখে কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে ৮ জন তরুণের নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। উক্ত নিখোঁজের ঘটনায় নিখোঁজ তরুণদের পরিবার কুমিল্লার কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গণমাধ্যম সমূহে বহুলভাবে আলোচিত নিখোঁজের এই ঘটনা দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব ফোর্সেস নিখোঁজদের উদ্ধারে নজরদারি বৃদ্ধি করে। নিখোঁজ তরুণদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে র্যাব”জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ” নামক একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় থাকার তথ্য পায় এবং র্যাব জানতে পারে যে, এই সংগঠনের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সহায়তায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন বিভিন্ন জেলা হতে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র মোট ৬৪ জন সহ তাদের প্রশিক্ষণে সহযোগিতা প্রদানকারী পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর ১৭ জন জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব এর মধ্যে পার্বত্য অঞ্চল হতে এ পর্যন্ত ৩৭ জন জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব এবং সকলকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে দাবী করেছেন র্যাব এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মইন।