মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩
  • প্রচ্ছদ » আলোকিত জনপথ » মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিদুৎ কান্তি সরকারের বিরুদ্ধে মন্দির, শ্মশান ও রাস্তার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ



মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিদুৎ কান্তি সরকারের বিরুদ্ধে মন্দির, শ্মশান ও রাস্তার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


আলোকিত সময় :
15.03.2023

এম এম এ রেজা পহেল, ধর্মপাশা ( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ 

সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ
সম্পাদক বিদ্যুৎ কান্তি সরকার তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে পত ১৪বছরে এখানকার চারটি ইঊনিয়নের বিভিন্ন মন্দির, শ্নাসান ও রাস্তার বিভিন্ন সময় ভূয়া কমিটি দিয়ে সরকারি টিআর কাবিখা, কাবিটা বরাদ্দের নামমাত্র কাজ করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। তিনি মধনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের চামরদানী গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্পেশাল বরাদ্ধ স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্পেশাল টিয়ার, কাবিখা অর্থ দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্টানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজকর্মের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কান্তি সরকার কৌশলে মন্দির, গির্জা, শশ্মান ঘাট ইত্যাদির অজুহাতে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোক্ত যুবলীগ নেতা বিদ্যুৎ কান্তি সরকারের বানানো প্রকল্পের তালিকা অনুযায়ী তার নিজ বাড়ী চামরদানী ইউনিয়নের সাড়ারকোনা স্কুল হতে গ্রাম পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট,বিছরাকান্দা গোরস্থানে মাটি ভরাট, কাহালা গ্রামে শশ্মান ঘাটে মাটি ভরাট ও বিশারা শশ্মান ঘাটে মাটি ভরাট। এসব গ্রামে গিয়ে কোথাও মাটি ভরাটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিদ্যুৎ কান্তি সরকার প্রতি বছর বছর ধর্মীয় প্রতিষ্টানের নামে ভূয়া প্রকল্প তৈরী করে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছারাও টিয়ার এর বরাদ্দকৃত চাউল খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে সরাসরি তার বাসায় নিয়ে পর্যায় ক্রমে বিক্রি করছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক মন্দির ও শশ্মান ঘাট কমিটির লোকজন জানান, আমাদের চামরদানী গ্রামের ছেলে বিদ্যুৎ কান্তি সরকার মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্পেশাল বরাদ্দের তালিকায় আমাদের প্রতিষ্টানের নাম ব্যবহার করে ভূয়া কমিটির ভূয়া সভাপতি, সম্পাদক বানিয়ে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছে।
অভিযুক্ত বিদুৎ কান্তি সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিকের কথা শুনে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।
মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতুষ সরকার বলেন, বিদ্যুৎ কান্তি সরকার ছাত্রদলের রাজনীতি করত। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পারে স্থানীয় সংসদের হাতধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করে, এইসব হাইব্রিড নেতাদের জন্য আওয়ামী লীগের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। এই অতিথি পাখি দলের দূর্দিনে থাকবেনা। সঠিক ভাবে তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসনান খান বলেন, এই বিষয়টি আমার জনা নেই, তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি