নিজস্ব প্রতিবেদক :
ক্যাসিনো-কাণ্ডে বন্ধ থাকা মতিঝিলপাড়ার ক্লাবগুলো খুলতে পারে। শোনা যাচ্ছে, আগামী মাসেই দরজা খুলে দেওয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। একজন সাবেক ক্রীড়াবিদ এ ব্যাপারে সরকারের মহলের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ক্লাবগুলো ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বন্ধ করে দিয়েছিল। বন্ধ থাকা অরক্ষিত ক্লাবগুলোর অভ্যন্তরে থাকা মালামাল চুরি হয়ে গেছে। একটি ক্লাবের ভেতরে লাশ পাওয়ার খবরও বেরিয়েছিল। ক্লাবগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, যারা ক্যাসিনো-কান্ডে জড়িত, তারা জামিনে বেরিয়ে আলো-বাতাস খাচ্ছেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিশ্চিন্তে। আর ক্লাবগুলো বন্ধ রয়েছে। তালা ঝুলছে। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সভাপতি কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যসচিব শাহিনুর রহমান শাহিন সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্লাব খুলে দেওয়ার আকুতির কথা জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘ক্যাসিনো-কাণ্ডে মামলা চলছে। অভিযুক্তরা জামিনে রয়েছেন। আর খেলোয়াড়দের থাকার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।’
বাফুফের সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বলেন, ‘আমরা সরকারের একটি মহলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। উনি আমার সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাব, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় বন্ধ থাকা ক্লাব খুলে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছিলেন। আমরা বাফুফে থেকে অনেক বার অনুরোধ করেছি। ২০২১ সালের ৮ মে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলাম।’
অন্যদিকে সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার জানিয়েছেন, স্বররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছিল। স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী র্যাবের সঙ্গে কথা বলেছেন। গাফফার বলেন, ‘র্যাবের ডিজি আমাদের সময় দিয়েছিলেন তার কার্যালয়ে। ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। র্যাবের ডিজি দুই জনকে নির্দেশ দিয়েছেন এ ব্যাপারে তিন দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট দিতে। র্যাবের ডিজি আমাদের বলেছেন, ক্লাবের নামে যদি কোনো আইনি জটিলতা না থাকে, তাহলে খুলে দিতে বলেছেন। আমরা একটা নীতিমালা দেব, যেখানে ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িতরা আর কখনো ক্লাবে জড়িত হতে পারবেন না। খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্তরা জড়িত হতে পারবেন। আর রাত ১১টার পর খেলোয়াড়, বয়-বেয়ারা ছাড়া ক্লাবে কেউ থাকতে পারবেন না। কর্মকর্তাদেরও পরচিয়পত্র থাকতে হবে।’