আলোকিত সময় ডেস্ক :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ খাল দখলমুক্ত করে রূপনগর থেকে তুরাগ পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে। প্রকৌশলীরা এটি নিয়ে কাজ করছেন। এজন্য ১১টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এই শহরের অনেক খাল দখল হয়ে গেছে। অনেক মাঠ দখল হয়ে বড় বড় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আমি খালগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ৪০ বছর আগে রূপনগর খাল দিয়ে নৌকায় চড়ে তুরাগে যাওয়া যেতো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানোর কাজ করছে। খাল অবৈধ দখলমুক্ত করে রূপনগর থেকে তুরাগ পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ইতিমধ্যে মিরপুর ১৩ নং সেকশনের অধিকাংশ রাস্তার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এই রাস্তাটি বাকি ছিল। এটি নির্মাণের জন্য ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই মিরপুরবাসীর জন্য রাস্তাটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে। সড়কের বিদ্যমান গাছগুলো না কেটেই উন্নয়ন কাজ করতে হবে। আমি জানতে পেরেছি কিছুদিন আগে মিরপুরস্থ টেকনিক্যাল ক্রসিংয়ে সড়ক বিভাজক নির্মাণকালে অসাধু ঠিকাদার কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেছে। যেহেতু ঠিকাদার সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা অমান্য করে গাছ কেটেছে তাই তাকে ডিএনসিসিতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট দুজন প্রকৌশলীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। উন্নয়ন হবে কিন্তু গাছ কেটে নয়।’
বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে। আবার রোদ হচ্ছে। এই আবহাওয়ায় এডিস মশা বেশি জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। আজই ছাদে যাবেন, বারান্দায় দেখবেন পানি জমে আছে কিনা। সবাই দায়িত্ব নেন। দোকানদারদের অনুরোধ করবো আপনারা দোকানের সামনের রাস্তাটা পরিষ্কার রাখুন। সবাই যার যার বাড়ির, দোকানের, প্রতিষ্ঠানের সামনের জায়গা পরিষ্কার রাখলেই পরিচ্ছন্ন শহর নিশ্চিত হবে।’
মেয়র বলেন, ‘আসন্ন ঈদে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সকলের সহযোগিতা চাই। কোরবানির পরে দয়া করে পানি দিয়ে রক্তটা একটু ধুয়ে ফেলবেন। রাস্তার মাঝখানে কোরবানি দিবেন না। জনগণের সহায়তায় আট ঘন্টায় কুরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো। আমি বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করবো। যে ওয়ার্ড সবার আগে বর্জ্য অপসারণ করবে সেই ওয়ার্ডকে পুরস্কৃত করা হবে।’
প্রকল্পের আওতায় ৪নং ওয়ার্ডে মিরপুর সেকশন-১৩, ব্লক-সি এবং টিনশেড কলোনী এলাকায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪.১৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৮.০৬ কিলোমিটার নর্দমা, ৩.৯১ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব, ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জামাল মোস্তফা, ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন রশীদ (জনি), ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জহির উদ্দিন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শীলা।